কোন কোন লক্ষণগুলি দেখলেই বুঝবেন হার্টের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন
কোন কোন লক্ষণগুলি দেখলেই বুঝবেন হার্টের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন
হার্টের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই অসুখ যে কোনও সময় জীবন নিয়ে টানাটানি করতে পারে। তাই এই রোগকে প্রথমেই চিহ্নিত করা সবথেকে জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর হার্টের রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান প্রায় ১ কোটি ৭৯ লক্ষ মানুষ।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী তাই সচেতন থাকুন।
মনে রাখবেন, এই অসুখের মূল কারণ হল হৃৎপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত চলাচল না করতে পারা। এক্ষেত্রে খারাপ জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের দরুন এই অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে। এছাড়া মাথায় রাখতে হবে যে কিছু জিনগত কারণেও এই অসুখ হওয়া সম্ভব।
আগে যেখানে বেশি বয়সে এই অসুখ দেখা যেত, এখন কম বয়সেই হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্টের প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি। নইলে যে কোনও সময় বড় বিপদ আসতে পারে। এমনকী প্রাণহানীর আশঙ্কাও থাকে।
হার্টের অসুখ আটকাবেন কী ভাবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় আমাদের ব্যালান্স লাইফস্টাইল মেনে চলতে হবে। এছাড়া রোগের প্রাথমিক লক্ষণ জেনে রাখা জরুরি।
বুকে চাপ লাগলেই সাবধান
বুকে চাপ বা বুকে ব্যথা কিন্তু হতে পারে হার্টের সমস্যার উপসর্গ। এক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল ঠিকমতো হয় না। এই সমস্যার নাম করোনারি আর্টারি ডিজিজ। এই নালীতে প্লাক জমে সমস্যা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে বুকে ব্যথা, বুকে চাপ লাগা, বুক ভারী অনুভূত হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। তবে এই সমস্যাকে একদমই অবহেলা নয়। বরং দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।
চোয়াল ও ঘাড়ে ব্যাথা
হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সময় শুধু বুকে ব্যথা হয় না। বরং যন্ত্রণা পৌঁছে যেতে পারে শরীরের অন্যত্রও। এমনকী মুখের দিকেও ছড়াতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, হঠাৎ করে চোয়ালে বা ঘাড়ে ব্যথা হলে সাবধান। এই সমস্যাকে অবহেলা করবেন না। মাড়ির সমস্যা ছাড়াও এর পিছনে অনেক জটিলতা থাকতে পারে। তাই সচেতন হন দ্রুত। প্রাণ বেঁচে যাবে।
পেটে ফাঁপা বা বমি বমিভাব
অনেক সময় হার্টের লক্ষণ হিসাবে পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব থাকতে পারে। মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা হয় বেশি। তাই বুকে ব্যথার পাশাপাশি এই সমস্যাগুলি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পারমর্শ নিয়ে ফেলুন। তবেই রোগ থেকে বাঁচতে পারবেন। অন্যথায় প্রাণহানীর আশঙ্কা তৈরি হয়। তবে সবসময় যে হার্টের জন্যই এই সমস্যা হয়, এমন নয়।
ক্লান্তি অবহেলা নয়
এর অর্থ হল শরীরের সর্বত্র সঠিকভাবে রক্ত পৌঁছাচ্ছে না। তাই শ্বাসকষ্ট বা ক্লান্তি হতে পারে। দীর্ঘদিন এমন সমস্যা থাকলে আপনাকে অবশ্যই সচেতন থাকার চেষ্টা করতে হবে। কারণ এর পিছনে হার্টের অসুখ থাকলেও থাকতে পারে। তবে অনেক সময় অতিরিক্ত কাজ করার জন্যও মানুষের এই সমস্যা হতে পারে। তাই ভয় না পেয়ে কারণ জানাটা জরুরি।
পা অসাড় হলেই বিপদের ঘণ্টা
অনেকের পা অসাড় হয়ে যায়। এটা হার্ট ডিজিজের লক্ষণ। বহু ক্ষেত্রে পায়ে ব্যথাও হয়। এটা পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজের লক্ষণ। এই অসুখে পায়ের আর্টারিতে প্লাক জমে। ফলে রক্ত চলাচল ঠিকমতো হয় না। এই কারণে সমস্যা বাড়ে। তাই এখন থেকে এই উপসর্গগুলি দেখলেই সচেতন হন।