গর্ভবতী মা

গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস যে লক্ষণগুলো অবহেলা করা যাবে না

গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস যে লক্ষণগুলো অবহেলা করা যাবে না

গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস গর্ভের শিশুর অভ্যন্তরীণ গড়ন আর গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় শিশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো গড়ে ওঠে। মায়ের শরীর আর মনের ওপর দিয়েও যায় মাতৃত্বকালীন পরিবর্তনের প্রথম ধাক্কা। অনেক মা এই সময়টায় অসুস্থ বোধ করেন, মনমেজাজও হয়ে যেতে পারে তিরিক্ষি। অনেকেই বমি এবং খেতে না পারার সমস্যায় ভোগেন।

এ সময়ের সাধারণ সমস্যা

ক্লান্তি, বমিভাব, বুক জ্বালাপোড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধামান্দ্য কিংবা নিজের পছন্দের বাইরে ভিন্ন ধাঁচের খাবার খাওয়ার ইচ্ছা দেখা দেয় অনেকেরই। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিংবা স্তনে ব্যথা করাও অস্বাভাবিক নয়। হালকা পেটব্যথাও হয়ে থাকে। অনেকেরই সাদাস্রাব গিয়ে থাকে। সামান্য রক্তস্রাবও হতে পারে কারও কারও।

  • শুরু থেকেই একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকুন। প্রতি মাসে একবার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ভালো। ওজন, পালস, রক্তচাপ দেখা হয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবে ওজন বাড়ছে কি না, সেটাও জানা যাবে।
  • বমিভাব এড়াতে সকালে খালি পেটে থাকা অবস্থায় দাঁত ব্রাশ না করাই ভালো। রাতে ব্রাশ করে শোবেন। সকালে শুকনা খাবার খাওয়া উচিত, তরল খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। বমিভাব থাকলে কখনোই একবারে খুব বেশি পানি বা তরল খাবার খাবেন না। বেলা বাড়ার পর দাঁত ব্রাশ করবেন।
  • অল্প অল্প করে বারবার খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • খাওয়ার পরপরই শোবেন না। অন্তত আধঘণ্টা পর শোবেন। বুক জ্বালাপোড়া করলে মাথার নিচে দুটি বালিশ রাখতে পারেন।
  • হালকা শরীরচর্চার অভ্যাস বজায় রাখা ভালো।
  • মন ভালো রাখতে চেষ্টা করুন। প্রিয়জনকে মনের কথা বলুন। এটা গর্ভবতী নারীর কাছের মানুষের দায়িত্ব, যাতে তাঁর মন ভালো থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা।
  • চা-কফি কম খাওয়ার অভ্যাস রাখা ভালো।
  • ধূমপান ও মদ্যপান বর্জনীয়।
  • জ্বর, ক্রমাগত বমি, একেবারেই খেতে না পারা—এমন সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বিপদচিহ্ন

এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না—

  • তীব্র পেটব্যথা
  • রক্তস্রাব
  • অতিরিক্ত মাথা ঘোরা
  • খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি
  • খুবই সামান্য ওজন বৃদ্ধি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *