রোগীদের গোপনীয়তা রক্ষায় বাংলাদেশে কী ব্যবস্থা আছে?
পেটের সমস্যা নিয়ে ধানমণ্ডির একটি হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন শাহানা পারভিন। চেম্বার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে কয়েকজন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ তাকে ঘিরে ধরে প্রেসক্রিপশন দেখতে চান। তাদের কয়েকজন ছবিও তুলে নেন।
‘’কিছু বলার আগেই তারা আমাকে ঘিরে ধরে প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলে নিলো। সেখানে আমার সব সমস্যার বিবরণ, টেস্ট, ওষুধ লেখা আছে। আমার ব্যক্তিগত সমস্যার বিবরণ কয়েকজন অচেনা ব্যক্তির মোবাইলে চলে গেল, তিনি বলেন।
প্রতিদিন তার মতো এরকম অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ। শারীরিক অসুস্থতা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা চিকিৎসকের পরামর্শ- কোনটির কোনরকম গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় না।
মিরপুরের বাসিন্দা মিরাজ চৌধুরীর অভিজ্ঞতা আরও তিক্ত। তিনি শারীরিক একটি সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকে দেখেন, তার আগেই আরও দুজনকে সেখানে বসিয়ে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকের সঙ্গে তাদের আলাপ, শারীরিক পরীক্ষা সবকিছুই তার চোখের সামনে ঘটে।
এরপর তার পালা যখন আসে, ততক্ষণে সেই চেম্বারের ভেতর আরও দুজন রোগীকে নিয়ে আসা হয়েছে।
মিরাজ চৌধুরী বলছিলেন, ডাক্তারকে আমার সমস্যার কথা ঠিকমতো বলতে পারিনি। আমার খুবই অস্বস্তি লাগছিল। এই চিকিৎসকের চেম্বারে এটাই নাকি নিয়ম।
ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল তথ্য দিয়ে রোগী ভর্তি করার পর সদ্যোজাত শিশু এবং মায়ের মৃত্যুর পর এসব বিষয় আবার আলোচনায় উঠে এসেছে।
গত সপ্তাহে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল তথ্য দিয়ে একজন প্রসূতি রোগীকে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্তান এবং মা- দুজনেরই মৃত্যু হয়।