ডালিম খেলে যেসব উপকারিতা
ডালিম খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল। খুব স্বভাবতই বাড়ির অসুস্থ ব্যক্তিকে বেশিরভাগ সময় ডালিম খেতে দেওয়া হয়। এতে তাঁর শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। ভিটামিন, মিনারেল, আয়রনে ভরপুর ডালিমের পুষ্টিগুণের শেষ নেই।
ডালিমে ক্যালোরি এবং চর্বির পরিমাণ কম, কিন্তু ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদানে পরিপূর্ণ। একটি মাঝারি সাইজের ডালিমে মেলে ২৩৪ ক্যালোরি, ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৩ গ্রাম চর্বি এবং ১১.৩ গ্রাম ফাইবার। এছাড়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন সি, ফলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায় ফলটি থেকে। নানা ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব সুমিষ্ট ফল ডালিম খেলে। জেনে নিন ডালিম খাওয়ার ১০ উপকারিতা সম্পর্কে।
১. ডালিম অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ফল। এই ফল ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। ডালিমের রসে কিছু উপাদান আছে, যা ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থের চলাচলে বাধা দেয়। তাই ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে ডালিম খেতে পারেন।
২. ডালিমে আছে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ। এই ফলে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই ধরণের আঁশ থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়ায়।
৩. হৃদযন্ত্রের সমস্যা কমাতে সহযোগিতা করতে পারে ডালিম। বিশেষ করে বংশগতভাবে হৃদযন্ত্রের সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁরা নিয়মিত ডালিমের রস খেতে পারেন। এ ছাড়া ডালিমের রস কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৪. আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। তাই প্রতিদিন ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া ওজন কমাতে চাইলে ডালিম খেতে পারেন।
৫. এই ফলে আছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ভিটামিন সি ত্বকের জন্য ভালো।
৬. ডালিম রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক রাখে। এটি অন্য ফলের রসের মতো রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত ডালিম রস খেলে তাদের রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক থাকবে।
৭. স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে অনেকেই নিয়ম করে ডালিম খান। ডালিম খাওয়ার পাশাপাশি এর জুসও খেতে পারেন। কারণ, ডালিমের জুসও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি।