মেছতা কেন হয় ও করণীয়
মেছতা সাধারণত নাকের দুই পাশে হয়ে থাকে। এটি হলে কালো দাগ স্পষ্ট দেখা যায়। একাধিক কারণে মেছতা হতে পারে। যেমন মেয়েদের ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সন্তান প্রসবের পর এটি হতে পারে। তবে নারী-পুরুষ উভয়ের সূর্যের আলোর কারণে হতে পারে। ছোটখাটো আরও কিছু কারণে মেছতা হলেও প্রধানত দায়ী এ তিনটি কারণ।
মেছতা বা মেলাসমা নারীদের বেশি হয়। এর ফলে মুখে কালো দাগ দেখা দেয়। মুখে এসব নিয়ে বাইরে চলাফেরায় বিব্রত হতে হয়। পরিমাণে কম হলেও পুরুষদের মেছতা হয়। পুরুষদের মেছতার সঙ্গে সূর্যের আলোর সম্পর্ক রয়েছে।
পুরুষেরা বিভিন্ন কাজের জন্য বাড়ির বাইরে বেশি থাকেন বলে তাঁদের ত্বকে সূর্যের আলো বেশি পড়ে। ত্বক সূর্যের তাপ শোষণে যোগ্য না হলে একটি নির্দিষ্ট জায়গা কালো হয়ে যায়। সাধারণত মেছতা বংশগতভাবে হয় না। তবে মায়ের ওয়াইর স্কিন থাকলে মেয়েও তা পেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ত্বকের মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যের আলোর ক্ষেত্রে একেকজনের ত্বক একেকভাবে সাড়া দেয়। যেমন ফরসা ত্বক যেভাবে সাড়া দেয়; কালো ত্বকে ভিন্ন সাড়া মেলে। আবার মিশ্র ত্বক আরেকভাবে সাড়া দেয়। ত্বকের মানের ভিত্তিতে কালো দাগগুলো দৃশ্যমান হয়।
মেছতা দুই রকম হতে পারে। এর একটি হলো এপিডার্মাল হাইপার প্রিভেনশন সুপার ফেসিয়াল, অন্যটি ডার্মাল হাইপার প্রিভেনশন। একটি বিশেষ লাইট দিয়ে মেছতা কোন শ্রেণির, তা সহজেই দেখা সম্ভব। এপিডার্মাল সুপার ফেসিয়াল হলে সঠিকভাবে একটি সানব্লক ব্যবহার করা যায়, যাতে অতিবেগুনি রশ্মির কারণে এটা হতে না পারে। বাইরে বের হওয়ার আগে সানব্লকটি ব্যবহার করতে হবে। রাতে ফিরে যেকোনো একটি ব্লিচিং এজেন্ট ব্যবহার করে পরিষ্কার করে নিলেই চলবে।
ডা. জাহেদ পাভেজ, সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও চুলরোগ বিশেষজ্ঞ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ।