জাতীয়প্রধান খবরস্বাস্থ্য সংবাদ

হৃদরোগের প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো সঠিক নিয়মে দৈনন্দিন জীবনযাপন

হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে হাসিখুশি থাকা- হৃদরোগ প্রতিরোধে হাসিখুশি থাকাও কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা হৃদরোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের দিকে অধিক গুরুত্বারোপ করেছেন।

তারা বলেন, হৃদরোগের প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো সঠিক নিয়মে দৈনন্দিন জীবনযাপন করা। হাসি খুশি থাকাও হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। হার্ট ব্লক হলেই ইন্টারভেনশন করা যাবে না। অনেক হার্ট ব্লক আছে যেসব ওষুধের দ্বারা ভাল রাখা যায়।

হৃদরোগের জটিলতা এড়াতে এজন্য নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিয়ে বক্তারা বলেন, এছাড়াও নিয়মিত ঘুম, লবণ না খাওয়া, অবসাদে না ভোগা ও ধূমপান না করলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতি দেড় সেকেন্ডে ১ জন লোক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশে প্রতিবছর ৫ লাখ ৭২ হাজার ৬০০ জন লোক নন কমিউনিক্যাবল ডিজিজেসে মৃত্যুবরণ করেন। তার মধ্যে ৩০ শতাংশ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ শিশু হৃদরোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে কাজ করছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হৃদরোগ বিভাগে ৭ শতাধিক শিশুর হৃদরোগের অপারেশন করা হয়েছে। শিশুরা যাতে রোগে না ভোগে, শিশুরা যাতে ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ না করে সেজন্য মাতৃগর্ভে থাকতেই তা স্ক্রিনিং করে চিকিৎসাসেবা দেয়া কার্যক্রম এখানে শুরু করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো: আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *