দাঁতের ফর্সাভাব ফিরিয়ে আনে দাঁতের হোয়াইটেনিং……
আজকের যুগে ঝকঝকে সাদা দাঁত কেবল সৌন্দর্যের প্রতীকই নয়, আত্মবিশ্বাসেরও মূর্ত প্রতিচ্ছবি। একজন মানুষের হাসি যখন উজ্জ্বল হয়, তখন তা তার ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক অবস্থানকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। কিন্তু ধূমপান, চা-কফি, কোল্ড ড্রিংকস ও অনিয়মিত ডেন্টাল হাইজিন দাঁতে দাগ বা হলুদ ভাবের সৃষ্টি করে। এই সমস্যার আধুনিক ও নিরাপদ সমাধান হলো দাঁত হোয়াইটেনিং বা ব্লিচিং।
দাঁত হোয়াইটেনিং কী?
দাঁতের হোয়াইটেনিং একটি নিরাপদ কসমেটিক ডেন্টাল চিকিৎসা, যেখানে রাসায়নিকভাবে দাঁতের ওপর থেকে দাগ ও বিবর্ণতা দূর করা হয়। এটি ক্লিনিকে বা ঘরোয়া উপায়েও করা যায়, তবে দন্ত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ক্লিনিক্যাল হোয়াইটেনিং ই সবচেয়ে কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি।
হোয়াইটেনিং-এর প্রকারভেদ
১. ইন-অফিস হোয়াইটেনিং (ক্লিনিক্যাল):
বিশেষ জেল ও লেজার আলো ব্যবহার করে মাত্র ৩০–৪৫ মিনিটে দাঁতকে ৪–৮ শেড পর্যন্ত ফর্সা করা যায়।
2. হোম ব্লিচিং কিট:
দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহৃত ঘরোয়া কিট যা ধীরে ধীরে দাঁতের রং হালকা করে।
কেন করবেন হোয়াইটেনিং?
দাঁতের হলুদ ভাব দূর করতে
বিয়ে, ফটোশুট বা পাবলিক ইভেন্টের আগে
আত্মবিশ্বাস বাড়াতে
ধূমপান বা পানীয়জাত দাগ দূর করতে
হোয়াইটেনিং কি দাঁতের ক্ষতি করে?
সঠিক নিয়মে ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হোয়াইটেনিং করলে দাঁতের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার বা অপেশাদার পদ্ধতি দাঁতের এনামেল দুর্বল করতে পারে।
কিছু সতর্কতা:
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওভার-দ্য-কাউন্টার প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না
হোয়াইটেনিংয়ের পর চা, কফি, বিটরুট, কলা ও ধূমপান এড়িয়ে চলা উচিত
নিয়মিত ব্রাশ ও ডেন্টাল চেকআপ জরুরি
উপসংহার
হোয়াইটেনিং শুধুমাত্র দাঁতের সৌন্দর্য নয়, এটি একজন মানুষের আত্মপ্রকাশের একটি অনন্য মাধ্যম। নিজের হাসিকে আত্মবিশ্বাসী, স্বাস্থ্যবান ও আকর্ষণীয় করতে হলে পেশাদার হোয়াইটেনিং একটি কার্যকর পছন্দ।
আপনার সুন্দর হাসিই আপনার সর্বোচ্চ পরিচয়।
✍ ডা. মানবেন্দ্র দাস (শিমুল)
প্রস্থোডন্টিস্ট ও ইমপ্ল্যান্টোলজিস্ট
এভরিডে ডেন্টাল সার্জারি অ্যান্ড ইমপ্ল্যান্ট সেন্টার, মালিবাগ, ঢাকা।