প্রধান খবরপ্রেসত্রিুপশন

ক্রনিক কিডনি রোগের উপসর্গ ও চিকিৎসা : ডা. রাইসুর আক্তার

ক্রনিক কিডনি রোগ অথবা পুরাতন কিডনি রোগ অথবা C.K.D এই ধরনের রোগ থেকে কিভাবে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসা যায় এবং সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায় আসুন আমরা তা আজকে পরিকল্পনা ও আলোচনা করি।
চলুন ধাপে ধাপে একটি সম্পূর্ণ CKD (Chronic Kidney Disease) বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ ভালো রাখার ও উন্নতির পরিকল্পনা করি —(ধরা হচ্ছে আপনার কিডনি এখনো পুরোপুরি নষ্ট হয়নি, অর্থাৎ EGFR কম হলেও কিছু কাজ করছে।)

চিকিৎসকের নিয়মিত তত্ত্বাবধান

প্রতি ৩ মাসে একবার নেফ্রোলজিস্ট (কিডনি বিশেষজ্ঞ) অথবা কোন হোমিও অভিজ্ঞ ডাক্তার-এর কাছে রুটিন চেকআপ করুন।

পরীক্ষাসমূহঃ
১/Serum Creatinine, eGFR

২/Urine R/E (protein leak আছে কি না)

৩/Blood Pressure

৪/Electrolytes (Na, K, Ca, Phosphate)

৫/HbA1c (যদি ডায়াবেটিস থাকে)

২. খাদ্য পরিকল্পনা (Diet Plan)

★ প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ

দিনে সর্বোচ্চ ০.৬–০.৮ গ্রাম প্রোটিন প্রতি কেজি ওজনের জন্য।

উদাহরণ: ওজন ৬০ কেজি হলে ৩৬–৪৮ গ্রাম প্রোটিন।

★লাল মাংস নয় বরং ডিমের সাদা অংশ বা মাছ অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

★ লবণ (সোডিয়াম) কমান

দিনে ২ গ্রাম সোডিয়াম (৫ গ্রাম লবণ বা ১ চা চামচের কম)।

আচার, ফাস্টফুড, চিপস, প্যাকেট খাবার বাদ দিন।

★পানি নিয়ন্ত্রণ

যাদের ফোলা নেই বা ইউরিন স্বাভাবিক, তারা ২–২.৫ লিটার পানি।

যাদের ফোলা বা ইউরিন কম, ডাক্তার অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি।

★ পটাশিয়াম ও ফসফরাস কমানো

পটাশিয়াম বেশি: কলা, কমলা, টমেটো, আলু – কম খাবেন।

ফসফরাস বেশি: দুধ, পনির, বাদাম, কোলা জাতীয় পানীয় – কম খাবেন।

★সবজি ও ফল

সিদ্ধ বা ফুটিয়ে পানি ফেলে দেবে, এতে পটাশিয়াম কমে।

৩. জীবনযাপনের পরিবর্তন

রক্তচাপ ১৩০/৮০ mmHg এর নিচে রাখুন।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখো (যদি ডায়াবেটিস থাকে)।

ধূমপান, অ্যালকোহল একদম বন্ধ।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন (BMI < ২৫)।

নিয়মিত হালকা ব্যায়াম — হাঁটা, যোগব্যায়াম, প্রার্থনা/নামাজের শারীরিক অংশগুলোও সাহায্য করুন।

চিকিৎসা :

৪. ওষুধ সংক্রান্ত বিষয়

ব্যথার ওষুধ (Painkiller – যেমন Ibuprofen, Diclofenac) একদম এড়িয়ে চলো।

যদি হার্বাল বা অ্যালোপ্যাথিক কিছু নিতে চান? আগে ডাক্তারকে জানান, কারণ অনেক এলোপ্যাথিক এবং হারবাল ঔষধেও কিডনিতে চাপ পড়ে।

কিন্তু হোমিওপ্যাথি কি একমাত্র চিকিৎসা জগত যে চিকিৎসা জগতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে তাই নির্ভাবনায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গ্রহণ করা চলে।

৫. প্রাকৃতিক ও হালকা হোমিও সহায়তা (ডাক্তারের পরামর্শে)

Berberis vulgaris Q – কিডনির ড্রেনেজ ও পাথরজাত টক্সিন বের করতে সহায়ক।

Solidago virgaurea Q – ইউরিনারি সাপোর্ট ও কিডনি ফাংশন বুস্ট করে।

Terebinthina 30 বা Apis mellifica 30 – প্রদাহ ও ইউরিনারি সমস্যা থাকলে ব্যবহৃত হয়।
তবে এগুলো ডাক্তার বা অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শে নিতে হবে।


ডা. রাইসুর আক্তার
সিনিয়র কনসালটেন্ট এন্ড রিসার্চার।
চেম্বার :
৪৭- ৪৮ নং দোকান, হাকিম টাওয়ার, মধ্য বাড্ডা,(লুথফুনটাওয়ারের পাশে)
ঢাকা।হটলাইন :
০১৭৯৯৪৫৬৩৯৮
-অনুলেখ: মো. কামরুল ইসলাম নয়ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *